বাংলাদেশ টেস্ট দলে মুমিনুল হককে অধিনায়কত্ব হতে সরে দাঁড়ানো সময়ের ব্যাপার মাত্র। বরখাস্তের চেয়ে পদত্যাগকরা অনেক বেশি সম্মানের এক্ষেত্রে মিমির উচিত বোর্ড কিছু বলার আগে নিজেই সরে দাঁড়ানো। মুমিনুল হক আমাদের টেস্ট দলের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান। তার ফর্মে ফিরে আসা নিজের জন্য যেমন দরকার তারচেয়ে বেশি দরকার বাংলাদেশ দলের জন্য।আমার বিশ্বাস অধিনায়কত্বের চাপ মুক্ত হয়ে খেললে খুব দ্রুত নিজের চেনা রুপে ফিরে আসবে মিমি।
![]() |
| মমিনুলের হাত থেকে লাল বলের অধিনায়কত্ব যাচ্ছে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের হাতে। |
মুমিনুল হক সরে গেলে অধিনায়ক কে হবেন এটা হচ্ছে গত দুই তিনদিনের টক অব দ্যা টপিক! এই ক্ষেত্রে আমি সাকিবকে এগিয়ে রাখবো। সাকিবের ক্রিকেট সম্পর্কিত জ্ঞান,বিচক্ষণতা, সিদ্ধান্ত নিতে পরিপক্কতা দলের অন্য সবার চেয়ে অনেক এগিয়ে। সো সাকিব আল হাসান হতে পারেন টেস্ট দলের যোগ্য অধিনায়ক। সাকিব নিজেই নাকি অধিনায়ক হবার ইচ্ছে প্রকাশ করেছে সেটা আমাদের জন্য নিঃসন্দেহ দারুণ খবর!
কিন্তু সমস্যা হলো,সাকিব আল হাসান টেস্টে নিয়মিত না।এক্ষেত্রে সমাধান কে হতে পারে, সাকিবকে অধিনায়ক করে,অনেকে লিটন দাসকে সহ-অধিনায়ক হিসাবে এগিয়ে রাখছে আমার ব্যক্তিগত মতামত লিটনকে এখনো দায়িত্ব দিয়ে মমিনুল হকের মত হয়ে যাক সেটা আমি চাইনা।অধিনায়কত্বের চাপ সবাই নিতে পারেনা,ভালো প্লেয়ার হলেই ভালো অধিনায়ক হবে এই কথা যে সত্যি নয় বেশি দূর নয় মমিনুল হকের দিকে তাঁকেলেই হবে। ভুলে গেলে চলবেনা এই মিমির টেস্টে সেঞ্চুরি কিন্তু ১১টা যা মোটেও চাট্টিখানি কথা নয় অধিনায়কত্ব পাবার পর সেই মিমির এখন কি করুণ পরিণতি!
এই লিটনকে চাপ মুক্ত হয়ে খেলতে দিন আমার বিশ্বাস খুব বেশিদূর নয় টেস্টের সেরা ১০ ব্যাটসম্যানের তালিকায় এই লিটনের নামটাও চলে আসবে খুব দ্রুত ইনশাআল্লাহ।
![]() |
| অধিনায়ক এবং সহ-অধিনায়ক হলে এই জুটির হাত ধরে বাংলাদেশ অনেক দূর এগিয়ে যাবে। |
সেই ক্ষেত্রে মেহেদী হাসান মিরাজকে সহ অধিনায়ক করলে ভালো ফল পাওয়া যেতে পারে সাকিব যে সিরিজে খেলবে না সেখানে মিরাজ অধিনায়কত্ব করবে।এক্ষেত্রে সাকিবের কাছে থেকে বিভিন্ন টেকনিক রপ্ত করে মিরাজ ভবিষ্যতের জন্য নিজেকে পরিপক্ক করতে পারবে। সাকিবরা যখন অবসরে চলে যাবে একজন যোগ্য একজন অধিনায়কের হাতে দায়িত্বটা বুঝিয়ে দিয়ে স্বস্তিতে নিঃশ্বাস নিতে পারবে।


মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন